রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক শিবির ও জামায়াতের রাজনীতি করতেন এবং তার পরিবারের কেউ কখনও নৌকায় ভোট দেননি বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
‘১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস ও জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন সাফল্য আলোচনা’ শীর্ষক শোক সমাবেশে বক্তারা এমন মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগমারার গোয়ালকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বাগমারা উপজেলার তৃণমূল আওয়ামী লীগ এই শোক সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাগমারার আওয়ামী লীগের এমপি এনামুল হক তার জীবদ্দশায় কখনো আওয়ামী লীগ করেনি। তিনি শিবির করতেন, জামায়াতের রাজনীতি করতেন। তার পরিবারের কেউ কখনও আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেনি, নৌকাতেও ভোট দেননি।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি টেনে শোক সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে আবারও নৌকা প্রতীক চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে বলেছিলেন, ‘তুমি তিনবার নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছো, তবে এখনো আওয়ামী লীগ হতে পারোনি। তাই আওয়ামী লীগ হওয়ার চেষ্টা করো।’
শোক সমাবেশে বক্তারা বলেন, আসলে তৃণমূল আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেয়। তৃণমূল আওয়ামী লীগ ছাড়া কাউকে মনোনয়ন প্রধানমন্ত্রী দেন না। তাই এবার রাজশাহীর বাগমারায় তৃণমূল আওয়ামী লীগ যাকে মনোনয়ন দেবে সেই নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে।
বক্তারা আরো বলেন, এমপি এনামুলের অনিয়ম, দুর্নীতি আর নারী কেলেঙ্কারীর কারণে তৃণমূল আওয়ামী লীগ আর তার সঙ্গে নেই। তৃণমূল আওয়ামী লীগ থেকে সে একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বাগমারার জনসাধারণ বুঝে গেছে এমপি এনামুল একজন ধান্দাবাজ। এনামুলের পায়ের নিচে মাটি নাই। তার বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে।
গোয়ালকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. আলমগীর সরকারের সভাপতিত্বে শোক সভায় বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. ইব্রাহিম হোসেন; জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য, বাগমারার তাহেরপুর পৌর মেয়র ও তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো.আবুল কালাম আজাদ; বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান চৌধুরী, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও মানব সম্পদ উপ-কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. পি এম সফিকুল ইসলাম, বাগমারা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মো. জাকিরুল ইসলাম সান্টু প্রমুখ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি টেলিফোনে কাউকে কোনো মন্তব্য দেয় না।’
স্বপ্নচাষ/একে
বাংলাদেশ সময়: ১০:০৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট ২০২৩
swapnochash24.com | Anaet Karim