করোনা সংকটের মধ্যেও ৬৬টি উদীয়মান অর্থনীতির দেশের তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক শক্তির বিভিন্ন সূচক বিবেচনায় নিয়ে তালিকাটি তৈরি করেছে ব্রিটেনের বিখ্যাত সাময়িকী ইকনোমিস্ট।
বাংলাদেশের পরেই রয়েছে করোনায় পর্যুদস্ত চীন। আর আগে থাকা দেশের নামগুলো হলো, বতসোয়ানা, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, পেরু, রাশিয়া, ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড ও সৌদি আরব।
মহামারীর সংকটে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ অবস্থায় রয়েছে এসব দেশ।
অর্থনৈতিক ভিত্তি ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার বিচারে উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার চেয়ে ভালো আছে বাংলাদেশ।
এতে ভারত ১৮, পাকিস্তান ৪৩ এবং শ্রীলংকা ৬১তম অবস্থানে রয়েছে। অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের নামই তুলনামূলক নিরাপদে থাকা দেশের তালিকায় শীর্ষ দশে।
ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সের বরাতে ব্রিটিশ সাময়িকীটি জানায়, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর বন্ড ও শেয়ার বাজার থেকে গত চার মাসে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি তুলে নিয়েছে। তুলে নেয়া অর্থের এই অংক ২০০৮ সালের বিশ্ব মন্দার সময়ের তিনগুণ।
পত্রিকাটি জানায়, কোভিড-১৯ উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে অন্তত তিনভাবে। লকডাউনের কারণে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়ায় উৎপাদন বন্ধ থাকছে। বিশ্বজুড়ে যোগাযোগ বন্ধ থাকায় রফতানি আয় কমে যাচ্ছে। আর বিশ্বের বড় একটি অংশ বেকায়দায় থাকায় বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহেও টান পড়ছে।
এই মহামারী যদি জুলাইয়ের আগেও থিতিয়ে আসে, তারপরও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জিডিপি এবার আইএমএফের গত অক্টোবরের পূর্বাভাস থেকে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ কম হবে।
সংকট মোকাবেলায় উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর অন্তত আড়াই ট্রিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হতে পারে। আর এই টাকা তাদের সংগ্রহ করতে হবে বিদেশ থেকে, অথবা নিজেদের রিজার্ভ ভেঙে চলতে হবে।
করোনার আঘাতে কোন দেশ অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে এবং কোন দেশ তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থায় আছে, এমনটা বোঝাতেই এই তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে।
উদীয়মান অর্থনীতিগুলোর শক্তি ও দুর্বলতার জায়গা বিচার করতে চারটি সূচক বিবেচনায় নিয়েছে পত্রিকাটি। তা হচ্ছে, জিডিপির শতাংশ হিসেবে সরকারের ঋণ, বিদেশি ঋণ, ঋণের সুদ এবং রিজার্ভ।
আর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা দশ দেশ হল- ভেনিজুয়েলা, লেবানন, জাম্বিয়া, বাহরাইন, অ্যাঙ্গোলা, শ্রীলংকা, তিউনিশিয়া, মঙ্গোলিয়া, ওমান ও আর্জেন্টিনা।
মহামারীতে অর্থনৈতিক প্রভাব নিয়ে ইকনোমিস্ট জানায়, এতে রফতানি ক্ষতি হবে খুবই তীব্র। আর তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় উপসাগরীয় তেল রফতানিকারক দেশগুলোর চলতি বছরের জিডিপিতে তিন শতাংশের বেশি রফতানির চেয়ে আমদানি মূল্য ছাড়িয়ে যাবে।
স্বপ্নচাষ/আরএস
বাংলাদেশ সময়: ৯:২৬ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৩ মে ২০২০
swapnochash24.com | sopnochas24
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |