সংগৃহীত
করোনাভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া সরকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতায় দূতাবাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনকে লেখা চিঠিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুন হিশাম উদ্দিন হোসেইন এসব কথা জানান।
বাংলাদেশ হতে হাইড্রোক্লোরোকয়াইন ট্যাবলেট রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।এই ট্যাবলেট মালয়েশিয়ায় করোনা রোগীর চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ বলে তুন হিশাম উদ্দিন উল্লেখ করেন।
এছাড়া মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলয়ায় বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া একত্রে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি মালয়েশিয়ার নাগরিকদের সেদেশে ফেরত নেয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ড. মোমেনকে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ায় চলমান মুভমেন্ট কন্ট্রোলে দূতাবাস দেশটিতে বসবাসরত (কোয়ারেন্টাইনে থাকা) প্রবাসীদের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে।এ ছাড়া কুয়ালালামপুরে লকডাউন করা সিটি ওয়ান প্লাজা, সেলাংগর ম্যানশন এবং মালয়া ম্যানশনে কোয়ান্টোইনে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের খাদ্যসহ অন্যান্য সহায়তার জন্য বিশ হাজার রিঙ্গিত মালয়েশিয়া সরকারকে দিয়েছে।
মালয়েশিয়া সরকার মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার জারি করলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়, চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে এবং যে যার আবাসস্থলে অবস্থান করে। এমন পরিস্থিতিতে হাইকমিশন অনলাইনে খাদ্য চাহিদার ফরম দেয়। যা পূরণ করে হাজার হাজার প্রবাসী।
এসব আবেদন যাচাই করে মালয়েশিয়া সরকারের নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান মালয়েশিয়ান ট্রেড ইউনিয়ন স্বেচ্ছায় খাদ্য সামগ্রী বাংলাদেশিদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে। তবে লোকেশন ও কঠোর নিয়ন্ত্রণের এবং করোনা আক্রান্ত হবার আশঙ্কা থাকায় বিতরণে বিলম্ব হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
আর এতেই অনেক প্রবাসী মনে করছেন ফরম পূরণ করার পরেও খাবার পাচ্ছেন না। অপরদিকে এ দুর্যোগ মুহূর্তে প্রবাসীদের বিভিন্ন সংগঠন, জনহিতৈষী এবং হাইকমিশন কর্তৃক সাহায্য করার বিষয়ে সচিত্র নিউজ করায় ইতোমধ্যে সাংবিদকরাও কটাক্ষের শিকার হয়েছেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ দুর্যোগের মুহূর্তেও কিছু লোক এমন মিথ্যাচার ও কটাক্ষ খেলায় মেতে উঠেছে যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অবমাননাকর।
বাংলাদেশ সময়: ১১:১৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২০
swapnochash24.com | Anaet Karim