প্রতীকী ছবি
মূলত র্যাশজনিত সমস্যা। কখনো বুকে-পিঠে, কখনো পায়ে। এই উপসর্গ বিশেষ করে দেখা দিচ্ছে শিশু ও কমবয়সীদের মধ্যে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘কভিড ফিট’।
এই নতুন উপসর্গ প্রথম দেখা দেয় ইতালিতে। তারপর ফিনল্যান্ড, স্পেন, কানাডা, আমেরিকা থেকেও এমন উপসর্গের খবর আসতে শুরু করে। দেখা যায়, যে সব অঞ্চলে কভিড রোগীর সংখ্যা বেশি, সেখানেই এই জাতীয় সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। মূলত ঠান্ডার দেশগুলোতে এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলেও ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ুর দেশগুলোতেও এমন সমস্যা যে কোনো সময় দেখা দিতে পারে বলে দাবি গবেষকদের। কভিড-১৯ নিয়ে এখনো চিন্তিত চিকিৎসক-গবেষকরা। রোগের প্রকৃতি ও উপসর্গ বুঝতে গিয়ে প্রায়
প্রতিদিনই নানা রকম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছেন তারা। দেশ বদলালে, পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে উপসর্গও! কোনো দেশে হঠাৎ স্বাদ বা গন্ধের বোধ চলে যাচ্ছে। কখনো বা দেখা দিচ্ছে ‘পিঙ্ক আই’। সে ক্ষেত্রে বদলে যাচ্ছে চোখের রং। সে সবের তালিকায় যোগ হলো কভিড ফিট।
কী এই কভিড ফিট? কভিডের এই নয়া উপসর্গে হাত বা পায়ের একটা নির্দিষ্ট অংশজুড়ে ফ্রস্ট বাইটের মতো হয়। বরফ থেকে য়েমন ঘা হয় পায়ে, ঠিক তেমনই। প্রাথমিক পর্যায়ে তা লালচে ফোস্কার মতো দেখায়। সেই অংশের রঙও বদলে যায়। সঙ্গে দেখা দেয় চুলকানি। পায়ের পাতা, হাতের তালু, হাত-পায়ের আঙুলে এই সমস্যা বেশি হয়। কেন হয় কভিড ফিট?
এই ‘কেন হয়’-এর উত্তর এখনই খুঁজে পাওয়া অসম্ভব বলে মত ত্বক বিশেষজ্ঞদের। তারা এটিকে ‘অ্যাকিউট অ্যাক্রোইস্কিমিয়া’ বলেও ডাকছে। তাই এ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।
স্বপ্নচাষ/আরএস
বাংলাদেশ সময়: ৫:২৪ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৭ এপ্রিল ২০২০
swapnochash24.com | Anaet Karim