সংগৃহীত ছবি
কৃষিঋণ বিতরণের পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিময় ব্যবসা, বাণিজ্যিক ও কৃষিভিত্তিক শিল্প বা প্রকল্প কিংবা দারিদ্র্য বিমোচনের মতো কর্মসূচিতে সরকারের সহযোগী হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক।
করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবে সৃষ্ট সঙ্কটেও পিছিয়ে নেই শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানার এ ব্যাংকটি। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্যাংকটি। এরই মধ্যে হাওর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় ধান কাটার জন্য স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, হাওর অঞ্চলের পাঁচ জেলার কৃষক একরপ্রতি ১২ হাজার টাকা ঋণের ঘোষণা দিয়েছে ব্যাংকটি। পুরাতন ঋণ গ্রহীতার পাশাপাশি নতুনরাও এ সুযোগ পাচ্ছেন। ওই পাঁচটি জেলা হলো-কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার। এসব জেলার কৃষকদের ৯ শতাংশ হারে ঋণ দিচ্ছে ব্যাংকটি।
এছাড়া সরকার ঘোষিত করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক এবং প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বল্প সুদে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের অন্যতম প্রধান দায়িত্বে আছে কৃষি ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির আওতাধীন কৃষকের ১০ টাকার ৪১ লাখ ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সরকারের নিয়মিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নে দায়িত্ব পালন করছে।
করোনাভাইরাস সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবেলায় কৃষি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) আফজাল করিমের নেতৃত্বে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষ কমিটি বর্তমানে কাজ করে যাচ্ছে।
সাধারণ ছুটির মধ্যেও ব্যাংকটির মোট ১০৩৮টি শাখাই সেবা দিয়ে যাচ্ছে। শাখাগুলোতে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। বড় শাখাগুলোতে দেওয়া হয়েছে থার্মাল স্ক্যানার। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রাহক সেবাও নিশ্চিত করছে ব্যাংকটি।
ব্যাংকটির সার্বিক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির শাখা নিয়ন্ত্রক ও ব্যবসা উন্নয়ন বিভাগের ডিজিএম মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘সরকার আমাদেরকে যেভাবে নির্দশনা দিয়েছে সেভাবেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে আমাদের প্রতিষ্ঠান। জনগণের কল্যাণে সরকারের কৃষি ও সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক প্রায় সব কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি ব্যাংক। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই দায়িত্ব পালন করছে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।’
তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সঙ্কট মোকাবেলায় ২৫ সদস্য বিশিষ্ট বিশেষ কমিটি বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে। এরই মধ্যে সাধারণ মানুষের সেবায় অনুদান হিসাবে প্রায় ১০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর একদিনের বেতন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দেওয়া হয়েছে।’
করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাংকটির বিশেষ সুবিধার বিষয়ে আরো জানা যায়, গ্রাহকের সঞ্চয়ী হিসাবের কিস্তি, ঋণের কিস্তি কিংবা বিদ্যুৎসহ যে কোনো বিলের অর্থ জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে আগামি জুন পর্যন্ত বিলম্ব জরিমানা মওকুফ করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে যে কোনো মাসের টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো জরিমানা রাখবে না ব্যাংকটি। ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করবে। এছাড়া পাঁচ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবীমা পাবেন। সেক্ষেত্রে করোনা আক্রান্তরা পাঁচ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত এককালীন পেতে পারে।
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, কৃষি ব্যাংকের অনলাইন ব্যবস্থাও বর্তমানে অনেক শক্তিশালী। গ্রাহক চাইলে যে কোনো শাখা থেকে টাকা জমা দেওয়া কিংবা টাকা তুলতে পারছে। ১০৩৮টি শাখার মধ্যে প্রায় ৪২১টি অন-লাইন এবং ৪৬১টি অটোমেটেড শাখার মাধ্যমে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও ময়মনসিংহ শহরে ছয়টি এটিএম বুথের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ব্যাংকের নিজস্ব এটিএম বুথ ছাড়াও যে কোনো ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলনের সুবিধা রয়েছে। শিগগিরই ‘বাংলা-ক্যাশ’’ নামে কৃষি ব্যাংকের নিজস্ব মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
স্বপ্নচাষ/আরএস
বাংলাদেশ সময়: ১:৩৫ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০
swapnochash24.com | Anaet Karim
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |