প্রতীকী ছবি
বগুড়ার শাজাহানপুরে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়ে আত্মগোপনকারী ব্যক্তির স্ত্রীরও করোনা শনাক্ত হয়েছে। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ (৪০) ওই স্বামীর অসতর্কতার কারণেই এমনটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শনিবার (২ মে) ওই ব্যক্তির স্ত্রী বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্সেরও (৩০) করোনা শনাক্ত হয়। জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবদুল ওয়াদুদ জানান, করোনা শনাক্ত ওই নার্সের সংস্পর্শে আসা পাঁচ স্টাফকে হোম কোয়ারেন্টিন রাখা হয়েছে। তাদের নমুনাও ল্যাবে পাঠানো হচ্ছে।
বগুড়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র জানায়, সদর উপজেলার শেকেরকোলা গ্রামের ওই ব্যক্তি ঢাকার এরিস্টোফার্মা লিমিটেডের মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ। তার স্ত্রী বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের নার্স। তিনি শাজাহানপুর উপজেলার ফুলতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় ছেলেকে (১২) নিয়ে থাকতেন। ওই ব্যক্তি গত ১০ এপ্রিল ঢাকা থেকে বগুড়া আসেন। ঢাকা ফেরত হওয়ায় স্ত্রীর অনুরোধে ২৬ মার্চ বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে তিনি করোনা সন্দেহে নমুনা পরীক্ষা করেন। ২৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার করোনা শনাক্ত হয়। এরপরই তিনি ছেলেকে নিয়ে আত্মগোপন করেন। ফোন বন্ধ রাখায় উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও জনপ্রতিনিধিরা তার বাসার সন্ধান না পেয়ে বিপাকে পড়েন। অনেক খোঁজাখুজির পর ফুলতলা এলাকায় তার ভাড়া বাসার সন্ধান মেলে। প্রশাসন তার ভাড়া বাসাসহ আশেপাশের চার থেকে পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করে লাল পতাকা ঝুলিয়ে দেয়। এরপর ২৯ এপ্রিল রাতে বগুড়া সদর উপজেলার শেখেরকোলা গ্রামের বাড়িতে তার খোঁজ মেলে। পরে ওই ব্যক্তিকে স্বপরিবারে বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা হয়। আশেপাশের কয়েকটি বাড়িও লডকডাউন করা হয়। এছাড়া তার স্ত্রীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, শুক্রবার (১ মে) শজিমেক হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে বগুড়ার ১২৪ জন ছিলেন। রাতে পাওয়া রিপোর্টে বগুড়ার ওই ব্যক্তির স্ত্রীর করোনা শনাক্ত হয়।
স্বপ্নচাষ/আরএস
বাংলাদেশ সময়: ২:৩৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০২ মে ২০২০
swapnochash24.com | sopnochas24