ফাইল ছবি
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে শেষের দিকে দ্রুত রান তোলার কাজটা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। কিন্তু তার সময় শেষ হয়ে গেলে কার ওপর ভরসা রাখবে বাংলাদেশ দল? খোদ রিয়াদ জানালেন চারজনের কথা।
ইনস্টাগ্রাম লাইভে এসে ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, ‘সাব্বিরের খুব ভালো সম্ভাবনা ছিল ৬-৭ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে। এখন সাইফউদ্দিন আছে। সাইফ বড় শট খেলতে পারে। আফিফও খুব ভালো বিকল্প। পাশাপাশি মোসাদ্দেকও আছে। আমার কাছে মনে হয়, তিন-চার জন আছে, যাদের ভালো ফিনিশিং দেওয়ার সামর্থ্য আছে।’
যদিও শেষের দিকে ব্যাট করার সামর্থ্যটা একদিনে গড়ে ওঠেনি রিয়াদের। তিনি নিজের উন্নতির গল্পটা জানিয়ে বলেন, ‘বছর চারেক আগে আমাদের একটা অনুশীলন ক্যাম্প হয়েছিল খুলনায়, চন্দিকা হাতুরুসিংহে কোচ থাকার সময়। ওই সময় হাতুরুসিংহের সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু কাজ করেছিলাম মানসিকভাবে ও স্কিল হিটিং নিয়ে। সেটা আমার খুব কাজে লেগেছে। আগে আমি উইকেটে গিয়ে সময় নিতাম কিছুটা হলেও। এখন আত্মবিশ্বাসী যে শুরু থেকেই গিয়ে কাজটা করতে পারি। এই পজিশনে খেলতে হলে এটা খুবই জরুরি। নিঃস্বার্থভাবে খেলতে হবে। অনেক সময় দলের প্রয়োজনে নিজের উইকেট দিয়ে আসতে হবে। ঐ স্বাধীনতা নিয়ে খেলার মানসিকতা থাকতে হবে।’
যদিও এই দক্ষতাটা আয়ত্ত করলেও কখনোই ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে ডাক আসেনি তার। এই নিয়ে আক্ষেপ করেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। বললেন, ‘আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে তো সবাই খেলতে চায়। এই টুর্নামেন্টই এরকম। দারুণ চাকচিক্যময়। বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি লিগ। খেলতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগত। সবাই চায় সেরা টুর্নামেন্টে নিজেকে দেখতে। এটির কারণে মন খারাপ করে বসে থেকে তো লাভ নেই। আশা করি, ভবিষ্যতে কখনো সুযোগ আসবে।’
তামিমও মনে করেন, ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলার সামর্থ্য রিয়াদের আছে। তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আপনি আইপিএলে খেলাটা প্রত্যাশা করেন। আমি আপনাকে আগেও বলেছি রিয়াদ ভাই। এটা আমি অনুভব করি।’ এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তামিম আরো যোগ করেন, ‘বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শেষ কয়েক বছর আপনি যেভাবে ব্যাটিং করছেন সেটা দারুণ। আমার কাছে মনে হয়, সেখানে খেলতে না পারাটা আপনার জন্য দুর্ভাগ্যের বিষয়।’
বড়ো ছেলে রাঈদের ক্রিকেট নিয়ে পাগলামির কথা জানালেন রিয়াদ। এশিয়া কাপের আসর আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খানের বলে বাবার আউট হওয়াটা মেনে নিতে পারেনি সে। রিয়াদ বলেন, ‘একবার ও (রাঈদ) বলেছিল রশিদ খান আমি তোমাকে দেখে নেব। এশিয়া কাপে আমাকে আউট করার পরে বলেছিল। ওকে অনেক বুঝালাম যে বাবা এটা খেলারই অংশ। না সে বুঝবেই না। প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত ছিল রশিদ খানের ওপর।’
স্বপ্নচাষ/আরএস
বাংলাদেশ সময়: ৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৬ মে ২০২০
swapnochash24.com | sopnochas24