রাজধানী হারারে পাশে ছোট্ট একটি গ্রামের বাসিন্দা রোজমেরি পামির। গত মার্চে লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে তার পরিবার নিয়ে তীব্র খাদ্য সংকটে রয়েছেন। একবেলা খাওয়ারের জন্য তিন সদস্যের এই পরিবারটিকে রীতিমতো লড়াই করতে হচ্ছে। সারাদিনে একবেলা খেয়ে কোনোরকমে জীবনধারণ করে আসছে। খাওয়া বলতে ভুট্টা আর পানি।
রোজমেরি পামির সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, লকডাউনের প্রথম ২১ দিনের জন্য যে পরিমাণ খাবার রেখেছিলাম তা শেষ হয়ে গেছে। আমরা এখন শুধু দিনে একবার খাই।
এই অবস্থা আফ্রিকা মহাদেশের এক সময়ের খাদ্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত জিম্বাবুয়ের ৭৭ লাখ মানুষের। তীব্র খাদ্য সংকটে তাদের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে।
বর্তমানে জিম্বাবুয়ের ১ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীন। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলি বলছে, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবে খাদ্য ঘাটতির কারণে ১ কোটি মানুষ খাদ্য সংকটের মুখোমুখি।
যদিও দেশটির সরকার আগামী ছয় মাসের জন্য ১ কোটি মানুষকে ২.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের খাদ্য অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে কোথা থেকে এ অর্থ আসবে তার কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
এখন পর্যন্ত জিম্বাবুয়েতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ জন। এরমধ্যে মারা গেছেন ৪ জন।
স্বপ্নচাষ/এসএস
বাংলাদেশ সময়: ১০:২৭ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২০ মে ২০২০
swapnochash24.com | sopnochas24