ফাইল ছবি
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণ ক্ষমতা ১ হাজার ৪৫০ জন। কিন্তু রবিবার পর্যন্ত এই কারাগারে হাজতি এবং কয়েদি মিলিয়ে বন্দীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬১০ জন। তাই করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ঝুঁকি কমাতে সরকারের সাধারণ ক্ষমায় এই কারাগার থেকে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে মুক্তি পাচ্ছেন ৯৮ জন কয়েদি।
তবে কেবল সরকার নির্ধারিত শর্ত পূরণ করা কয়েদিদেরই মুক্তি দেয়া হচ্ছে। পরবর্তি তৃতীয় ধাপে আরও কিছু কয়েদিকে মুক্তি দেয়া হতে পারে বলে নিশ্চিত করেছে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, একটি সূত্রের দেয়া তথ্য মতে, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েদি ধারণ ক্ষমতা ১ হাজার ৪৬০ জন। অথচ এই কারাগারে বর্তমানে কয়েদির সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৫০০ জন। যা ধারণ ক্ষমতার দ্বিগণেরও বেশি।
এছাড়া করোনা পরিস্থিতির কারণে দেশের অন্যান্য আদালতের মতো রাজশাহীর আদালতগুলোও বন্ধ রয়েছে। এতে করে আসামিদের জামিন বন্ধ রয়েছে। তবে প্রতিদিনই বিভিন্ন থানা থেকে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ বিভিন্ন অপরাধে আসামিদের ধরে কারাগারে প্রেরণ থেমে নেই। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বিষয়টি উদ্বেগজন। অবশ্য কারা কর্তৃপক্ষ নিজস্ব দুইজন চিকিৎসকের মাধ্যমে কয়েদিদের স্বাস্থ্য নিয়মিত পরীক্ষা করছেন।
কারা সংশ্লিষ্টদের দেয়া তথ্য মতে, সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কারাগারগুলোকে ঝুঁকিমুক্ত রাখতে বাংলাদেশের সবকটি কারাগার থেকে তিন ধাপে মোট ২ হাজার ৮৮৪ জন কয়েদিকে পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেয়া হবে। তবে সরকারের দেয়া নির্দিষ্ট শর্তের মধ্যে যে সকল কয়েদি পড়বে, কেবল তারাই মুক্তি পাবে।
সরকারের দেয়া শর্তের মধ্যে রয়েছে, যে কোনো অপরাধে আদালতের মাধ্যমে এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হতে হবে। একই সাথে সংশ্লিষ্ট কয়েদির সাজা খাটার মেয়াদ অন্তত ৬ মাস পার হয়েছে এবং জরিমানা থাকলে তা পরিশোধ হয়েছে, কেবলমাত্র এমন কয়েদিরাই সরকারের ক্ষমার মধ্যে পড়বেন ও মুক্তি পাবেন।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন জানান, সরকারের নির্ধারিত শর্তের মধ্যে যে সকল কয়েদি পড়বে, কেবলমাত্র তারাই এই মুক্তি পাবে। এর জন্য কারা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কয়েদিদের নামের আলাদা কোনো তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বা সরকারের কাছে পাঠানো হয়নি। সরকারের শর্ত অনুসারে প্রথম ধাপে ৩৩ ও দ্বিতীয় ধাপে ৬৫ জনসহ মোট ৯৮ জন কয়েদিকে রাজশাহীর কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে শনিবার ও রবিবার ৩৮ জন কয়েদিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। বাকি ৬০ জন কয়েদির জরিমানার অর্থ আদায় বকেয়াসহ সরকারের দেয়া শর্ত না পূরণ হওয়ায় মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে শর্ত পূরণের মাধ্যমে শিগগিরই তাদের মুক্তি দেয়া হবে। এছাড়া তৃতীয় ধাপে আরও কয়েদি মুক্তি পেতে পারেন।
সিনিয়র জেল সুপার আরও জানান, কয়েদিদের পরিবারের সদস্যদের ফোন করে জরিমানার অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। এ ধরণের মুহূর্তে প্রতারকদের অন্য বন্দীদের স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকা চাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বন্দীর স্বজনদের সতর্ক থাকতে হবে। কেউ টাকা চাইলেই তারা যেন না দিয়ে দেন। কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই যেন তারা ব্যাংকে টাকা পরিশোধ করেন।
স্বপ্নচাষ/আরএস
বাংলাদেশ সময়: ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৪ মে ২০২০
swapnochash24.com | sopnochas24
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ||||||
২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ |
৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ |
১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ |
২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ |
৩০ | ৩১ |