ফাইল ছবি
বাম্পার ফলন হয়েছিল শীতের আলুতে। খুচরা বাজারে সে আলুর কেজি এখন ৩০ টাকা। ওই আলুর জমিতেই কৃষক রোপন করেছে ধান ও ভুট্টা। এখানেও ফলন ভালো। এছাড়া বিলের জমির ধান রয়েছে। রয়েছে শত শত পুকুর-দিঘী ভরা মাছ। সব মিলিয়ে চলমান করোনা সংকটেও রাজশাহীর বাগমারার কৃষকের মুে খ হাসি লেগে আছে। মনোবলও অটুট রয়েছে তাদের।
স্থানীয় কৃষক ও উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত প্রায় দেড় মাস ধরে চলমান করোনা সংকটে অস্থির হয়ে পড়ে গোটা বিশ্ব। এ অস্থিরতার কাঁপন এসে লাগে বাংলাদেশেও। শুরু হয় লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টেইনসহ নানাবিধ শৃঙ্খল। এসব শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়ে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ।
উপজেলা কৃষি দপ্তরের তথ্য মতে, এ উপজেলায় প্রায় চার লাখ মানুষের বসবাস। এরমধ্যে কৃষক শ্রেণি প্রায় আশি হাজার। চলমান করোনা সংকটে এলাকার বিভিন্ন পেশার লোকজনের কিছু অংশ সাময়িক খাদ্য সংকটে পড়লেও এলাকার কৃষকরা ভালো আছে।
কৃষকরা জানায়, গত শীত মৌসুমে বাগমারার অন্যতম ফসল আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘায় (৩৩ শতক) প্রায় ৭০ থেকে ৮০ মণ হারে আলু পেয়েছে কৃষক। প্রান্তিক কৃষক ছাড়া অধিকাংশ কৃষকরা সেই আলু স্টোরজাত করেছে। বাজারে সেই আলুর খুরচা দর প্রতি কেজি ত্রিশ টাকা।
কৃষকরা জানান, আলুর জমিতে বোরো ধান বা ভুট্টা চাষে তেমন সারের খরচ হয় না। অল্প সার ও নিয়মিত সেচ দিলে এ দুটো আবাদ আনায়াসে ঘরে তুলতে পারে কৃষক। সব মিলিয়ে প্রায় উনিশ হাজার হোক্টর জমিতে বোরো এবং পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে হয়েছে ভুট্টার আবাদ।
অনুকূল আবহাওয়া ও স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরমর্শ ও সহযোগিতায় এ দুটো আবাদের ফলনও হয়েছে বাম্পার। সবে বোরো ধানে সোনালী রং ধরেছে এবং ভুট্টার দানা পুষ্ট হতে চলেছে। মাড়িয়ার কৃষক রফিকুল ইসলাম, হামিরকুৎসার কৃষক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, তারা অধিকাংশ আলুর জমিতে ধান ও ভুট্টা রোপন করেছেন।
এছাড়া বিলের জমির ধান তো রয়েছে। এসব আবাদ এখন চোখে পড়ার মত। তাদের মতে কোনরকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আলুর মত এ দুটো আবাদ কৃষক ঘরে তুলতে পারলে কৃষকের আর কোন দুশ্চিন্তা থাকবে না। তবে ধান কাটাই মাড়াই নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেছেন মোহনপুরের কৃষক বেলাল হোসেন ও তাজুল ইসলামসহ ১০-১২ জন কৃষক।
তারা জানান, কৃষি শ্রমিকের এবার খুবই সংকট। তার উপর হুহু করে নদীর পানি বাড়ছে। তাদের মতে এটা আগাম বন্যার পূর্বাভাস। আগাম বন্যা চলে আসলে পরে রোপন করা ও বিলের নিচু জমির ধানের কিছু ক্ষতি হতে পারে বলে তারা জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসার ড. রাজিবুর রহমান জানান, এর আগে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন ধান ও ভুট্টার ফলন তেমনি আশানুরুপ। কৃষকরা ভালোভাবেই দিনাতিপাত করছে। আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকের পাশে আছি। তাদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। করোনা মোকাবেলায় তাদেরকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছি।
স্বপ্নচাষ/আরএস
বাংলাদেশ সময়: ৪:২৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৯ মে ২০২০
swapnochash24.com | sopnochas24
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ |
৮ | ৯ | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ |
১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ |
২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ |
২৯ | ৩০ |