জহিরুল হক জাকির
মনে পড়ে যায়, বারংবার মনের ভিতর একটা শব্দ ঘুরেফিরেই চলে আসে…….. যখন মাননীয় নেত্রী, বঙ্গকন্যা, বঙ্গবন্ধুর যোগ্য অনুসারী, যোগ্যকন্যা, দেশরত্ন শেখ হাসিনা, যিনি তার দুরদর্শী ও যাদুকরী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছেন এই বাংলার মাটিতে, তিনি বাংলার মানুষের আবেগের অন্তঃস্থল, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সেই মানুষটি দেশরত্ন শেখ হাসিনা তিনি যখন ঘোষণা দিলেন আমরা নিজেরাই নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করব। বিশ্ব ব্যাংকের কোন সাহায্যের দরকার নেই, আমরা কোন ঋণ নিব না কারও কাছ থেকে।
প্রধানমন্ত্রীর ঐ ঘোষণা গণমাধ্যমে এ প্রচারিত হওয়ার পর এক মহতি উদ্যোগ গ্রহণ করে- আমার ও আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ সময়ে দায়িত্বরত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান উনার বেতন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে এক কোটি টাকার একটি ফান্ড রাষ্ট্রীয় কোষাগারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্ট থেকে জমা দেন।
এরপর পর্যায়ক্রমে ঠিক ঐ সময়টাতে বাংলাদেশের সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বাংলার সকল মানুষ যার কাছে যা আছে, যার যতটুকু সামর্থ্য আছে সে ততটুকু অর্থ রাষ্ট্রের কোষাগারে জমা দিয়েছে। মন থেকে এই বাংলা মাকে ভালোবেসে, শেখ হাসিনাকে ভালোবেসে।
ঠিক ৭ই মার্চ এর ঘটনার পুনরাবৃত্তি এই বাংলার ইতিহাসে হয়েছে বলে আমি মনে করি এইটা আমার ব্যক্তিগত অভিমত। ৭ই মার্চ ছিল পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালিরা অস্ত্র ধরে যুদ্ধ করে, রক্ত দিয়ে, ইজ্জত বিলিয়ে দিয়ে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্যকে পাকিস্তানের কাছ থেকে ছিনিয়ে এনে স্বাধীন বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিল বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা, যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা, যারা বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি জন্মের ইতিহাস এর গর্বিত অংশীদার ও বাংলার সুপার হিরোখ্যাত সূর্য সন্তান। আর ঠিক তেমনি ধন্যপিতার ধন্য মেয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে পদ্মা সেতু গড়ার জন্য সকল বাঙ্গালী অর্থ যূদ্ধে যাপিয়ে পড়েছে তা ঐ সময়ের পত্র পত্রিকায় কলম যোদ্ধা, আমাদের জাতির দর্পণ প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা তুলে ধরেছেন।
ঠিক পিতার ডাকের ন্যায় কন্যা ডাক দিলেন, আমরা বীর এর জাতি, আমাদের পূর্ব পুরুষরা, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের হারতে শিখায় নাই। জয় আমাদের রক্তে। বাঙালিরা হারতে জানে না। আমরা আমাদের টাকায় পদ্মা সেতু করব। শেখ হাসিনার এই ডাকে বাংলাদেশ এর মানুষ দলমত নির্বিশেষে একাত্মতা পোষণ করে সাড়া দিল। সবাই শেখ হাসিনাকে সাহস দিল, সহযোগিতার হাত দুটি শেখ হাসিনার দিকে বাড়িয়ে দিল। বাঙালি আরো একবার প্রমাণ করে দিল বিশ্ব বাসীকে দেখালাম আমরা ১৯৭১ এ যুদ্ধে জয় দেখিয়েছিলাম আবার দেখিয়ে দিলাম শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০২২ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে। আমরা সত্যিই বীর এর জাতি, বীর বাঙ্গালী।।বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আছে এবং থাকবে এই বাংলাদেশ।
বাবা ও মেয়ের এক অভূতপূর্ব মিল, যা বাংলার রাজনীতির ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক ঘটনা।
একজন শেখ হাসিনা যিনি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি একাধারে একচল্লিশ বছর তার নেতৃত্বে চলছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ । বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংগঠনটি রূপ নিয়েছে এক দুর্বার গতিশীল সংগঠনে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ করে এই সোনার বাংলার অসীম সাহসী সন্তানেরা যারা বাংলা মাকে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসে, যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে শেখ হাসিনার প্রশ্নে বিন্দুমাত্র আপস করে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সেই সকল সাহসী মানুষের এক বৃহৎ মিলন মেলা ও বাংলার বুকে একমাত্র শক্তিশালী প্রগতিশীল সংগঠন এর নাম বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ কৃষক লীগ, বাংলাদেশ শ্রমিক লীগ বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের একমাত্র আস্হা ও ভালোবাসার নাম শেখ হাসিনা।
সোনার বাংলা একটা স্বপ্নের নাম ছিল, বাঙালির স্বপ্ন আমরা একদিন এই বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করব। কিন্তু কে এই বিশাল কর্মযজ্ঞের কাজ বাস্তবায়ন করবে……. আমার মনে হয় না জাতির পিতার মৃত্যুর পর আর কোন নেতৃত্ব বাংলাদেশ এ এসেছে এক শেখ হাসিনা ছাড়া। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব পিতার নেতৃত্বকে ছাড়িয়ে গেছে এটা বলার আর অবকাশ রাখে না।
স্বাধীনতার পর একসাথে দেশকে ঢেলে সাজানোর এত উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ, উন্নয়নকে গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার মহাপরিকল্পনা – ‘গ্রাম হবে শহর’ এই স্লোগানটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর এক যুগান্তকারী নেতৃত্ব এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে।
পরিশেষে বলতে চাই, এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হলে আগামী নির্বাচনে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এর বিজয় লাভ করার কোন বিকল্প নেই।
লেখক:
সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
সাবেক সহ-সম্পাদক, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ।
বাংলাদেশ সময়: ২:৪৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০২ জুলাই ২০২২
swapnochash24.com | sopnochas24