মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি মো. তামিম (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছেন র্যাব-৫ এর সদস্যরা। শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে নাটোর সদর থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৫-এর কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন।
গ্রেপ্তার মো. তামিম নাটোর সদর উপজেলার চাঁনপুর পাবনাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এর আগে ওই মামলায় পীরগঞ্জ মাটিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ (২৬), চাঁনপুর পাবনাপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামকে (৩০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
র্যাব কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এক বছর আগে আসামি তামিমের সঙ্গে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে ওই স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে চাঁনপুর গ্রামে নিয়ে যান তামিম। এরপর আব্দুল মজিদ ও সিরাজুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও দুজনের সহযোগিতায় ওই স্কুলছাত্রীকে রাত ৯টার দিকে একটি বিলের ভেতরে কলাবাগানে নিয়ে যান। পরে সেখানে ভোর ৫টা পর্যন্ত ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তামিম। পরে তামিম মেয়েটিকে আব্দুল মজিদের কাছে হস্তান্তর করেন। মজিদ মেয়েটিকে একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধর্ষণের পর ওই স্কুলছাত্রীকে রাজশাহীগামী বাসে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য বনবেলঘড়িয়া বাইপাস মোড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে স্থানীয় লোকজন স্কুলছাত্রীর অস্বাভাবিক অবস্থা লক্ষ্য করে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তারা ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে স্কুলছাত্রীর বাবা থানায় এসে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।’
স্বপ্নচাষ/একে
বাংলাদেশ সময়: ৬:৫৭ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
swapnochash24.com | sopnochas24