সংগৃহীত ছবি
বকেয়া বেতনের দাবিতে লকডাউনের মধ্যেও রোববার নারায়ণগঞ্জে ৮টি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। এসময় একটি কারখানার শতাধিক শ্রমিক ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে।
শ্রমিক জাগরণ মঞ্চ কেন্দ্রীয় সংগঠক ও জেলার সংগঠক জাহাঙ্গীর আলম গোলক জানান, মার্চ ও এপ্রিলের বকেয়া বেতনের দাবিতে ফতুল্লার বিসিক শিল্পএলাকায় আরএফ ফ্যাশন, ওয়েস্ট নিট কারখানা, সোমেন ফ্যাশন, চাঁনমারী এলাকার ইউরো টেক্স নেটওয়ার্ক, এফসিইজেড ফ্যাশন, পুলিশ লাইন্স এলাকার আমেনা গার্মেন্ট, গাবতলী এলাকার রূপায়ন সোয়েটার ও ফাইন নিট কারখানার শ্রমিকরা নিজ নিজ কারখানার সামনে ও ভিতরে অবস্থান করে বিক্ষোভ করছে।
বিক্ষোভের সময় শ্রমিকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সড়কে অবস্থান নিয়েছে।
আমেনা গার্মেন্টসের শ্রমিকদের নেতৃত্ব দেয়া বাসদের সহযোগী সংগঠন গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জানান, এ গার্মেন্টে ৩০০ শ্রমিক কাজ করে। কিন্তু এর মধ্যে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন শ্রমিক যারা ২ থেকে ৩ মাস ধরে কাজ করছেন, তাদের মার্চ মাসের বেতন পরিশোধ করে মালিক পক্ষ ছাটাই করে দেয়।
এতে ক্ষোভে শ্রমিকেরা সকাল ১০টা থেকে প্রথমে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করে। পরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। দুপুর ২টায় শ্রমিক ছাটাইয়ের আদেশ প্রত্যাহারের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।
গার্মেন্টের এ্যাডমিন ম্যানেজার কামরুল হাসান জানান, অস্থায়ী ভিত্তিতে ৫০/৬০ জন শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। তারা প্রায় ৩ মাস কাজ করার পর নতুন কোন অর্ডার আসেনি।
এতে গত মার্চ মাসে বেতন ভাতা পরিশোধ করে তাদের অব্যহতি দেয়া হয়। শ্রমিকরা তা মেনে্ও নিয়েছে। এখন সেই শ্রমিকদের ডেকে এনে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চেস্টা করছে একটি মহল।
নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের শ্রম পরিদর্শক (স্বাস্থ্য) মো. মেহেদী বলেন, মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধান করা হয়েছে। এখন কারখানায় কাজ নেই তাই বন্ধ। কাজ শুরু হলে আবারও তারা কাজে যোগদান করবেন। দুপুর ২টায় এ বিষয়ে আশ্বাস পেয়ে তারা আন্দোলন স্থগিত করে বাসায় ফিরে যান।
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, মালিক পক্ষের ডাকে আমাদের শ্রমিকরা ফতুল্লার বিভিন্ন গার্মেন্টে কাজ করেছে।
ফতুল্লার কায়েমপুর এলাকায় অবস্থিত ফকির গার্মেন্টস, তল্লা এলাকায় অবস্থিত মডেল প্রিন্ট কারখানা অনেক বড় প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও ফতুল্লার কুতুবআইল, বিসিক এলাকায় অনেক গার্মেন্টসই রোববার খোলা ছিল।
তবে অধিকাংশ কারখানায়ই জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়নি। শ্রমিকদের মহামারীর ঝুঁকি নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। মালিক পক্ষের কাছে আমার অনুরোধ, জীবাণুনাশক ছিটানোর ব্যবস্থা না থাকলে কারখানা খোলা রাখবেন না।
স্বপ্নচাষ/আরএস
বাংলাদেশ সময়: ৭:৪৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০
swapnochash24.com | Anaet Karim