• শুক্রবার ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

    শিরোনাম

    স্বপ্নচাষ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন  

    ভেন্টিলেটর ছাড়াই সহজ পদ্ধতিতে করোনা রোগীর চিকিৎসা

    স্বপ্নচাষ ডেস্ক

    ২৩ এপ্রিল ২০২০ ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ

    ভেন্টিলেটর ছাড়াই সহজ পদ্ধতিতে করোনা রোগীর চিকিৎসা

    সংগৃহীত ছবি

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে সেটি হলো তীব্র শ্বাসকষ্ট। যখন দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া হয় তখন তাদের মধ্যে তীব্র ধরনের কাশি ও শ্বাসকষ্ট হয়। মেডিকেল পরিভাষায় যাকে অ্যাকিউট রেসপিরেটোরি ডিসট্রেস সিনড্রোম (এআরডিএস) বলে। ফুসফুসের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে এ রোগীদের অক্সিজেনের স্বল্পতা দেখা দিলে রোগ জটিল আকার ধারণ করে। এক্ষেত্রে রোগীদের মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়।

    প্রোন পজিশনিং বা প্রবণ অবস্থান (উপুড় করে শোয়ানো) হল এক ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে তাদের ফুসফুসে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে। এ পদ্ধতিতে আশানুরূপভাবে ভালো ফললাফলও পাওয়া যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে। বিশেষ করে যারা জটিল শ্বাস কষ্টে ভুগছেন।

    আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, শ্বাসকষ্টের সমস্যা তীব্র হলে আইসিইউতে নেওয়ায় আগে রোগীদের এ সেবা দেওয়া হচ্ছে। এতে রোগীরা বেশ দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন।

    ডা. মাঙ্গলা নরসিমহান বলেন, আমরা এই পদ্ধতিতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছি। এটা খুবই সহজ একটি পদ্ধতি। এর মাধ্যমে রোগীরা সুস্থতার দিকে এগোচ্ছে। গত মঙ্গলবার একটি জরুরি ফোন কল পাই আমি। করোনা আক্রান্ত ৪০ বছর বয়সী এক রোগী মারাত্মক শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

    তিনি বলেন, আমি এটা শুনেই সহকর্মীদের নির্দেশনা দিই। রোগীকে উলটো করে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করুন। এটি সাহায্য করে কি না দেখুন। এর মাধ্যমে ফুসফুসে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।

    যখন রোগীকে এভাবে রাখা হয় তখন রক্তে অক্সিজেনের পরিমাপের হার, তার অক্সিজেনের স্যাচুরেশন হার ৮৫ শতাংশ থেকে ৯৮ শতাংশ পর্যন্ত চলে যায়, এটি একটি বিশাল বড় ব্যবধান।

    একদিনে ১৬ ঘণ্টা রোগীকে এভাবে রাখতে হয়। এ সময় রোগীর পিঠের অংশকে এক প্রকার রেস্ট দেওয়া বলা যেতে পারে। কারণ পিঠের অংশ বেশ অনেকক্ষণ উপরে থাকে। রোগীকে টানা এত সময় রাখা না গেলে ২টি সেশনে এ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ৪ ঘণ্টা করে সময় ভাগ করেও এ চিকিৎসা দেওয়া যেতে পারে।

    করোনাভাইরাসযুক্ত রোগীরা প্রায় এআরডিএস অর্থাৎ তীব্র শ্বাসকষ্টে মারা যায়। মূলত যাদের ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়া ও দীর্ঘমেয়াদি রোগ আছে তাদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্টের সমস্যা লক্ষণীয়।

    ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল আইসিইউর পরিচালক ডা. ক্যাথরিন হিবার্ট বলেন, এই পদ্ধতিতে প্রায় সাথে সাথেই রোগীদের উন্নতি হচ্ছে। এক্ষেত্রে রোগীদের আইসিইউতে হস্তান্তর করার আগে তাদেরকে এ পদ্ধতিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে ফুসফুসে সহজে অক্সিজেন পৌঁছতে পারে।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি অক্সিজেনকে আরও সহজে ফুসফুসে যেতে দেয়। পিছনে থাকাকালীন, শরীরের ওজন কার্যকরভাবে ফুসফুসকে স্কুইজ করতে সাহায্য করে।

    সাত বছর আগে ফরাসী চিকিৎসকরা নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিনে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন। সেখানে দেখানো হয়েছিল, এআরডিএস আক্রান্ত রোগীরা যাদেরকে ভেন্টিলেটারে রাখা হয়েছিল তাদেরকে যদি পেটের দিকটা নিচে, অর্থাৎ উলটো করে রাখা যায় সেক্ষেত্রে মৃত্যুর সম্ভাবনা কমে যায়।

    স্বপ্নচাষ/এসএস

    Facebook Comments Box
    স্বপ্নচাষ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন  

    বাংলাদেশ সময়: ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০

    swapnochash24.com |

    এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

    শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
     
    ১০১১১২১৩১৪১৫
    ১৬১৭১৮১৯২০২১২২
    ২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
    ৩০  
    advertisement

    সম্পাদক : এনায়েত করিম

    প্রধান কার্যালয় : ৫৩০ (২য় তলা), দড়িখরবোনা, উপশহর মোড়, রাজশাহী-৬২০২
    ফোন : ০১৫৫৮১৪৫৫২৪ email : sopnochas24@gmail.com

    ©- 2023 স্বপ্নচাষ.কম কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।