প্রতীকী ছবি
রাজশাহীর মোহনপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই ছাত্রীর বৃহস্পতিবার দুপুরে মোহনপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর উপজেলার বাকশিমইল ইউনিয়নের কালিগ্রাম খাজুরা মধ্যপাড়া গ্রামের নহির উদ্দিনের ছেলে নৈমুদ্দিন ওরফে নয়ন (২০), ইউনুস আলীর স্ত্রী ফাজেলা বেগম (৩৮) ও মৃত খিন্টু মন্ডল ছেলে নহির উদ্দিনকে (৫০) আসামি করা হয়েছে।
ওই ছাত্রীর বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কালিগ্রাম খাজুরা গ্রামে। তিনি বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রধান আসামি নৈমুদ্দিন নয়ন কলেজে আসা-যাওয়ার পথে ও মোবাইল ফোনে প্রায়ই ওই ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন ও উত্ত্যক্ত করতেন। এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে নৈমুদ্দিন নয়ন ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ওই ছাত্রী নৈমুদ্দিন নয়নকে বিয়ের জন্য তাগিদ দেন। কিন্তু বিয়ে না করে বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করতে থাকে।
গত ২১ এপ্রিল সকাল সকাল ১০টায় ওই ছাত্রীর বাবা ও মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে তাদের বাড়িতে আসেন নৈমুদ্দিন নয়ন এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবারও ধর্ষণ করেন। এরপর নৈমুদ্দিন নয়ন বাড়ি থেকে বের হলে ওই নারীর চাচা দেখতে পান। পরবর্তীতে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে বিস্তারিত খুলে বলেন ওই ছাত্রী।
এর প্রেক্ষিতে গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে বিয়ের দাবিতে নৈমুদ্দিন নয়নের বাড়িতে যান ওই নারী। কিন্তু গিয়ে তিনি দেখতে পান যে, নয়ন অন্য একটি মেয়েকে আগেই বিয়ে করেছে।
পরে এ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নৈমুদ্দিন নয়নের চাচী ফাজেলা বেগম কিল-ঘুষি মেরে ওই ছাত্রীকে বাড়ি হতে বের করে দেন। পরবর্তীতে মামলার ১ নং অভিযুক্ত নৈমুদ্দিন নয়র ও তার বাবা নহির উদ্দিন বাড়িতে এসে বিভিন্ন হুমকি দেয়াসহ বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।
পরবর্তীতে বুধবার রাতে মোহনপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য প্রধান আসামি নয়নের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। নয়নের মা পারেছা বেগম বলেন, তার ছেলে নৈমুদ্দিন নয়ন কোথায় আছেন, তা তিনি জানেন না।
এদিকে ছাত্রীর চাচা এই প্রতিবেদককে জানান, নৈমুদ্দিন নয়ন একাধিক মেয়েকে মিথ্যা প্রেমের জালে জড়িয়ে তাদের জীবন নষ্ট করেছে।
মোহনপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ জানান, নয়ন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই আসামি গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যহত রয়েছে।
স্বপ্নচাষ/আরএস
বাংলাদেশ সময়: ৯:৫৪ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০১ মে ২০২০
swapnochash24.com | sopnochas24