সংগৃহীত ছবি
রাজশাহীতে গত ১২ এপ্রিল প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর পর ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আটদিনে শনাক্ত হয় ৮ জন রোগি। এর পরের আটদিনে রাজশাহীতে করোনা রোগি শনাক্ত হয় ৫ জন। অর্থাৎ ১৬ দিনে রাজশাহীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগি পাওয়া গেছে ১৩ জন। প্রায় ছয়শ নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা পর ১৩ জনের পজেটিভ এসেছে।
রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত ৬ শতাধিক নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১৪০ জনের নমুনা রয়েছে। এই ১৪০ জনের মধ্যে একজনের নমুনায় পজেটিভ এসেছে। ফলে প্রশাসনের তৎপরতা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম বলে মনে করছেন জেলা সিভিল সার্জন। নগরবাসীও বলছেন, ব্যক্তিগত সুরক্ষায় জোর দেয়ায় ঝুঁকি কমেছে।
করোনার বিস্তার রোধে রাজশাহী শহরের প্রতিটি প্রবেশ পথে তৎপর সশস্ত্রবাহিনী। গেল তিন সপ্তাহ ধরে শহরে ঢোকা-বের হওয়া বন্ধ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাতেই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ১৩ জন বলে মনে করছেন সিভিল সার্জন ড. এনামুল হক।
তিনি বলেন, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে আসা মানুষের সংখ্যা কম ছিল। যারা এসেছে তাদের শনাক্ত করে কোয়ারেন্টিনে রেখেছিলাম। রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ অনেকটা সচেতন। পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, সাংবাদিক ও শিক্ষকসহ সবার উদ্যোগ মানুষকে সচেতন করা গেছে। যারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন তারা মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভসের মতো সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করছেন। লকডাউন দেয়াতে করোনা বিস্তার কম হয়েছে।
রাজশাহীতে ১৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ছয়জন নারী ও সাতজন পুরুষ। এদের মধ্যে পুঠিয়া উপজেলায় পাঁচজন, বাগমারায় একজন, মোহনপুরে চারজন ও বাঘা উপজেলায় একজন, তানোরে একজন ও পবায় একজন। এদের মধ্যে গত রোববার সকালে বাঘার আব্দুস সোবহান নামের এক বৃদ্ধ মারা যান।
স্বপ্নচাষ/আরএস
বাংলাদেশ সময়: ৪:৫১ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২০
swapnochash24.com | Anaet Karim