সংগৃহীত
দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেও রাজ্য দল থেকে বাদ পড়েছিলেন বিরাট কোহলি। বিষয়টি মোটেও মেনে নিতে পারেননি তিনি। ওই দিন সারারাত না ঘুমিয়ে শুধু কেঁদেছিলেন ভারতের ব্যাটিং মায়েস্ত্রো।
২০০৮ সালে প্রথমবার ভারতের জার্সি গায়ে চাপান বিরাট। ২০১১ সালে দেশের হয়ে প্রথম টেস্ট খেলেন তিনি। ইতিমধ্যে জাতীয় দলের হয়ে ৮৬ টেস্ট ও ২৮২ ওয়ানডে খেলেছেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক। দুই ফরম্যাটে যথাক্রমে করেছেন ৭২৪০ ও ১১৮৬৭ রান। উভয় সংস্করণে হাঁকিয়েছেন যথাক্রমে ২৭ ও ৪৩ সেঞ্চুরি।
এ ছাড়া মেন ইন গ্রিনদের হয়ে ৮২ টি-টোয়েন্টি খেলে বিরাট তুলেছেন ২৭৯৪ রান। আর ১০৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ৩২টি শতকসহ ৮৮৬২ রান করেন তিনি।
কোহলি বলেন, সেই সময়টা অন্যরকম ছিল। ক্রিকেটার হিসেবে তখন আমি প্রতিষ্ঠা পাইনি। তবু নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করতাম। ভালোই খেলতাম। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাজ্য দল থেকে আমাকে বাদ পড়তে হয়। সেবারই প্রথম কোনো দল থেকে বাদ পড়ি আমি।
তিনি বলেন, রাজ্য দল থেকে বাদ পড়ার কারণ জানতে কোচের কাছে গিয়েছিলাম আমি। কিন্তু কোনো উত্তর পাইনি। ফলে ভেঙে পড়েছিলাম। সেই দিন সারারাত দুই চোখের পাতা এক করতে পারিনি। সারারাত কেঁদেছিলাম।
তবে দমে যাননি বিরাট। সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন তিনি। ভারতীয় রানমেশিন বলেন, পরে তীব্র ইচ্ছাশক্তি ও একাগ্রতার মাধ্যমে স্বরূপে ফিরে এসেছিলাম। দুঃসময় কাটিয়ে উঠেছিলাম। নিজেকে ফের প্রমাণ করেছিলাম।
ফলে ২০০৬ সালে দিল্লি দলে সুযোগ পান বিরাট। এর ঠিক দুই বছর পর জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পান তিনি। এর আগে তার অধিনাকত্বে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতে ভারত। এর পর ভারতীয় অধিনায়ককে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
স্বপ্নচাষ/এসএস
বাংলাদেশ সময়: ২:৩৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০
swapnochash24.com | Anaet Karim