রাজশাহীতে আরও একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হয়েছে। তিনিও ঢাকা ফেরত। রোববার রাত ৮টার দিকে তার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল জানানো হয়। এ নিয়ে রাজশাহীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগির সংখ্যা দাঁড়ালো পাঁচজনে।
তাদের মধ্যে তিনজন নারায়নগঞ্জ, একজন ঢাকার শ্যামলী ও একজন গাজীপুর থেকে এসেছেন। তারা সবাই পোষাক কারখানায় কর্মরত। ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে ফেরা লোকজনকে রাজশাহীতে করোনা ছড়াচ্ছে বলে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ জন্য বাহির থেকে আসা লোকজনকে আলাদা থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রোববার রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পরীক্ষার পর আরও তিনজনের নমুনায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার একজন, নওগাঁর আত্রাই উপজেলার একজন ও সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের একজন। এ নিয়ে রাজশাহী ল্যাবে ১৩ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে রাজশাহীর পুঠিয়ার যুবকের নাম সবুজ (২৭)। তিনি উপজেলার ভাল্লকগাছী ইউনিয়নের নন্দনপুর নতুনপাড়া গ্রামের গেন্দার ছেলে। তিনি ১৫/১৬ দিন আগে গাজীপুর থেকে বাড়ি আসেন। তিনি পোষাক কারখানায় কর্মরত।
আর নওগাঁর আত্রাই উপজেলার কচুয়া গ্রামের আক্রান্ত যুবকের নাম রাশেদুল শেখ (২৩) এবং সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের আক্রান্তের নাম রজব আলী (৬৫)। তবে নওগাঁর জেলা প্রশাসক স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রাশেদুল শেখ নামের কোন যুবকের নমুনা পাঠানো হয়নি। এ নিয়ে বিভ্রান্ত দেখা দিয়েছে।
নমুনার প্যাকেটে যে ব্যক্তির ফোন নাম্বর ছিল তার নাম রাশেদ খান। তিনি ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মী। ৯ এপ্রিল কেরানিগঞ্জ থেকে তিনি বাড়ি আসেন। এর পর ১২ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলে রাশেদ কান জানান।
এর আগে রাজশাহী ল্যাবে ১০ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। এর মধ্যে রাজশাহীর চারজন, জয়পুরহাটের দুইজন, পাবনার দুইজন ও বগুড়ার দুইজন। বগুড়ার দুইজনের মধ্যে একজনের বাড়ি রংপুরে।