রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাধারণ শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ তুলেন মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য মিজানুর রহমান মেরাজ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনের পর থেকেই মাহাতাব হোসেন চৌধুরী সাধারণ শ্রমিকদের নানাভাবে প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত, হয়রানিসহ শ্রমিকদের জমি বিক্রির অর্থ আত্মসাৎ করে ব্যক্তিগত সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এসবের প্রতিবাদ করলেই সাধারণ শ্রমিকদের হুমকি দেয়ার পাশাপাশি সদস্য পদ স্থগিত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত ছাড়া বেআইনীভাবে আনুমানিক ৭০০ কার্ড বিক্রি করেন। বর্তমান কার্ডের মূল্য দাঁড়ায় ২১ লাখ টাকা; যা সম্পূর্ণ আত্যসাৎ করা হয়েছে। এছাড়াও রাজশাহী বাইপাস সংলগ্ন ললিতাহার মৌজার মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ১৯ কাঠা জমির (দলিল নম্বর-৯৪১৭) মধ্যে ১৬ কাঠা বিক্রি করেছেন পানির দামে। মাত্র ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূল্য দেখিয়ে বাকি অন্তত ১০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন মাহাতাব হোসেন।

মেরাজ অভিযোগ করে বলেন, বাস টার্মিনালের পাশে মেইন রোড সংলগ্ন শিরোইল মৌজায় অবস্থিত শ্রমিক ইউনিয়নের এক তলা আরসিসি পাকা বিল্ডিং হাশেম আলীর কাছে সম্প্রতি ১ কোটি টাকায় বিক্রয় করেন মাহাতাব হোসেন চৌধুরী। কিন্তু ওই বিল্ডিং ও জমির বর্তমান মূল্য ৮ কোটি টাকা। যা এককভাবে আত্যসাৎ করেন। তার কাছে শেয়ার হোল্ডার মূলে জমির মালিক সদস্যগণ হিসাব চাইতে গেলে প্রাণ নাশের হুমকি দেন। কার্ডের মাসিক চাঁদা বন্ধ করে দেন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাজশাহীতে প্রতিদিন বাস থেকে চাঁদা উঠে অন্তত ৫০ হাজার টাকা। যা এক বছরে ১ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তিন বছরে ৫ কোটি ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তবুও শ্রমিকরা শিক্ষা ভাতা, কন্যাদায়, মৃত্যুকালীন টাকার অধিকার থেকে সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত। এ অর্থও সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী আত্মসাৎ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাস চালক হারুন অর রশিদ, মোটর শ্রমিক নজরুল ইসলাম, আব্দুস সালাম শেখ, নাজিম আলী।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী বলেন, আসন্ন শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে।

স্বপ্নচাষ/এসএস