সংগৃহীত ছবি
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সাধারণ ক্ষমায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আরও ছয়জন কয়েদি মুক্তি পেয়েছেন। অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধ করে শর্তপূরণ করায় সোমবার সন্ধ্যায় তাদের মুক্তি দেয়া হয়। এ নিয়ে গেল তিন দিনে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ৪৪ জন।
রাজশাহীর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মুক্তির নির্দেশনা এসেছে কিন্ত মুক্তি পাননি এমন বন্দীর সংখ্যা এখন ৫৪ জন। এই ৫৪ জনের মধ্যে কারও কারও অন্য মামলাও রয়েছে। আদালত খুললে সেসব বিচারাধীন মামলায় জামিন পেলে তারা মুক্তি পাবেন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের মোট ৯৮ কয়েদিকে সাধারণ ক্ষমা করেছে সরকার। এর মধ্যে গত শনিবার ৩৩ এবং গত রোববার ৬৫ কয়েদিকে মুক্তির নির্দেশ দেয়া হয়। নির্দেশনা পেয়ে আগের দুই দিন ৩৮ কয়েদিকে মুক্ত করে দেয়া হয়। মোট তিন ধাপে রাজশাহী কারাগার থেকে কয়েদি মুক্ত করা হবে। দুই ধাপে নির্দেশনা এলেও তৃতীয় ধাপে নতুন কোনো নির্দেশনা পায়নি কারা কর্তৃপক্ষ।
কারাগারের কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগের বিস্তার রোধে কারাগারগুলোতে ভিড় কমাতে সারাদেশে লঘু অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা মওকুফ করা হচ্ছে। যাদের কারাদণ্ডের মেয়াদ এক বছর, কিন্তু ছয়মাস বা তারও বেশি সাজা খেটেছেন এ রকম কয়েদিদেরই সাধারণ ক্ষমায় সাজা মওকুফ করা হচ্ছে। যারা মুক্তি পাচ্ছেন তাদের এ মামলায় আর কারাগারে যাওয়া লাগবে না। কারাদণ্ড একেবারেই মওকুফ করে দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার শুধুমাত্র কারাদণ্ড মওকুফ করেছে। তবে অর্থদণ্ড মওকুফ নয়। জরিমানা পরিশোধ করতেই হবে। যাদের অর্থদণ্ড ছিলো না তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আর যাদের অর্থদণ্ড পরিশোধ করা নেই তারা যেতে পারছেন না। এখন ব্যাংক খোলা আছে, বন্দিদের স্বজনরা জরিমানার টাকা জমা দিলেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৪৫০ জন। কিন্তু উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ এই কারাগারে হাজতি এবং কয়েদি মিলিয়ে সব সময় বন্দী থাকেন প্রায় সাড়ে তিন হাজার। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ঝুঁকি কমাতে আরেক দফায় এখান থেকে বন্দিদের মুক্তি দেয়া হবে।
স্বপ্নচাষ/আরএস
বাংলাদেশ সময়: ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ মে ২০২০
swapnochash24.com | sopnochas24