রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) করোনা পরীক্ষা ল্যাবে শুক্রবার দুইজনের নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে। তাদের দু’জনের একজন করোনা ল্যাবের মেডিকেল টেকনোলজিস্টের ১২ বছরের শিশু ও অপরজন টেকনোলজিস্টের ৫৫ বছর বয়স্ক মা। তবে টেকনোলজিস্টের নমুনা পরীক্ষা রিপোর্ট অসম্পূর্ণ আসায় তা আবারও পরীক্ষা করা হবে।

আক্রান্ত দুজনেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় বসবাস করছেন।

পরিবারের দু’জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় নিয়ম অনুসারে সেই টেকনোলজিস্টকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তার স্ত্রীর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আক্রান্ত শিশু ও তার দাদি সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।

ল্যাবের একটি সূত্রের দেয়া তথ্য মতে, রাজশাহীর ল্যাবে শুক্রবার মোট ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে দুইজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অবশ্য শুক্রবার শনাক্ত হওয়া দুইজনের মধ্যে টেকনোলজিস্টের ১২ বছর বয়সী শিশু সন্তানের রিপোর্ট বৃহস্পতিবারই পজিটিভ আসে। শিশুটির করোনা আক্রান্ত হওয়ার প্রথম রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ দেখা দিলে শুক্রবার আবারও তা পরীক্ষা করা হয়।

এদিকে শুক্রবার টেকনোলটিস্টের মা-সহ স্ত্রী ও ল্যাবে থাকা অন্যদের নমুনাও পরীক্ষা করা হয়। এতে শুধুমাত্র দুজনেরই রিপোর্ট আসে পজিটিভ। অন্যদের নেগেটিভ আসলেও টেকনোলজিস্টের রিপোর্ট অসম্পূর্ণ এসেছে। টেকনোলজিস্টের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে। সেখানে শিশুটি তার দাদির কাছে অবস্থান করছিলেন। নিয়ম অনুসারে বাড়িটি লকডাউন করা হয়েছে।

রাজশাহী ল্যাবের টেকনোলজিস্ট ও আক্রান্ত শিশুটির বাবা জানান, যেহেতু তিনি করোনা ল্যাবে কাজ করছেন তাই নিরাপত্তার স্বার্থে তার পরিবারের সদস্যদের চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে তার দেশের বাড়িতে রেখেছিলেন। এর মাঝে সন্দেহ হওয়ায় তিনি শিশুটির নমুনা পরীক্ষা করান।

এরপর বৃহস্পতিবার নমুনা পজিটিভ জানার পর শুক্রবার শিশুটির নুমান আবারো পরীক্ষা করা হয়। এসময় শিশিুটির দাদি, মা ও সেই টেকনোলজিস্টের নমুনাও পরীক্ষা করা হয়। যেখানে শিশু ও তার দাদির নমুনায় করোনা ধরা পড়ে। তবে টেকনোলজিস্টের রিপোর্ট অসম্পূর্ণ এসেছে এবং তার স্ত্রীর রিপোর্ট নেগিটিভ। তিনি আরো জানান, শিশু ও তার দাদি সুস্থ আছে।

রাজশাহী মিডিকেল কলেজের ভাইসপ্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. বুলবুল হাসান জানান, ল্যাবের একজন টেকনোলজিস্টের শিশু সন্তান করোনা আক্রান্ত ধরা পড়ার পর শুক্রবার ল্যাবের অন্যান্যদের নমুনাও পরীক্ষা করা হয়েছে। যেখানে ল্যাব সংশ্লিষ্ট সকলের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। নিয়ম অনুসারে আক্রান্ত শিশুটির বাবা কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন।

স্বপ্নচাষ/আরএস