সংগৃহীত
প্রয়োজন ছাড়া শহরে ঘোরাফেরা করলেই গুনতে হবে জরিমানা। লোকজনকে ঘরে রাখতে শুরু হয়েছে রাজশাহী জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা। বুধবার থেকে প্রশাসন এমন পদক্ষেপ নিয়েছে।
রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। দোকান খোলায় জরিমানা গুনতে হয়েছে ব্যবসায়ীদেরও।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে পড়ে যারা ঈদের কেনাকাটা কিংবা খুব প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোনো কারণ দেখাচ্ছেন তাদের জরিমানা গুণতেই হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে মাস্ক না পরার কারণেও। ২০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে। এমন কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে শহর ফাঁকা রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।
এর আগের দিন মঙ্গলবার অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রেখে শাস্তি দেয়া হয়। কিন্তু পরদিন বৈরি আবহাওয়া থাকা স্বত্বেও মানুষ শহরে বের হন। ফলে বাধ্য হয়ে জরিমানার মতো দণ্ড দিতে শুরু করে প্রশাসন। এছাড়া শহরে যেন কোনো মার্কেট না খোলে সেটিও নিশ্চিত করা হচ্ছে।
নগরীর আরডিএ মার্কেটে দোকান খোলার অপরাধে বুধবার এক ব্যবসায়ীকে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবারও এই মার্কেটের এক ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে আগেই সারাদেশের মার্কেট-দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত ১০ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলার সিদ্ধান্ত আসে। এরপর সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ব্যবসা করছিলেন রাজশাহীর দোকানীরা।
এ অবস্থায় গত সোমবার বিকালে জেলা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় ওষুধ, জরুরি সেবা, খাবার ও কাঁচাবাজার ছাড়া রাজশাহীর সব দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। এর পর মঙ্গলবার সকাল থেকে কঠোর অবস্থান নেয় প্রশাসন। পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে আছেন। তবে গ্রামে এখনও দোকানপাট খোলা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত রাজশাহী মহানগর ছাড়াও সকল উপজেলার জন্য প্রযোজ্য। এই সিদ্ধান্ত কার্যকরে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
স্বপ্নচাষ/এসএস
বাংলাদেশ সময়: ৯:৫৪ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২০ মে ২০২০
swapnochash24.com | sopnochas24