আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সদ্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। সোমবার দুপুরে রাসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
আগামী ২১ জুন রাসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সদ্য সাবেক মেয়র ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে আবারও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ জন্য বিধি অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের আগে গত রবিবার মেয়রের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন তিনি। নিজের পদত্যাগপত্রটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে পাঠান লিটন। এরপর মন্ত্রণালয় পদত্যাগপত্রটি গ্রহণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এর প্রেক্ষিতে সোমবার দুপুরে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে নিজের মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট এই প্রার্থী।
মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হিসেবে আজকে (সোমবার) মনোনয়নপত্র দাখিল করলাম। আমি জানি নগরবাসীর আরো কিছু আশা-আকাঙ্খা অপূর্ণ আছে। সুযোগ পেলে আগামী ৫ বছরে সেগুলো পূরণ করতে চাই। রাজশাহীতে শিল্পায়নের অবস্থা ভালো না ও তেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। সেখানে কীভাবে শিল্পায়ন করা যায়, কর্মসংস্থান বাড়ানো হয়, সেক্ষেত্রে সচেষ্ট থাকবো। আমার নির্বাচনী ইশতেহারে ১ নম্বরে থাকবে কর্মসংস্থানের বিষয়টি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা নিয়ে আমি রাজশাহীকে কর্মমুখর নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষে নেতাকর্মীদের সহযোগিতা অব্যাহত আছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবেই নির্বাচনে লড়াই করছি। অন্য যারা মেয়র পদে প্রার্থী আছেন তাদের সঙ্গে ভোটযুদ্ধে যাওয়ার জন্য যা যা প্রস্তুতি নেওয়া দরকার সবই আমরা নিয়েছি। তবে যদি বিএনপির প্রার্থী থাকতো আরও খুশি হতাম। তাহলে তাদের আমরা সমুচিত জবাব দিতে পারতাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের দেওয়া হত্যার হুমকি সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য লিটন বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সময় প্রায় ঘনিয়ে আসছে। এটা প্রতিবারই আমরা দেখেছি, নির্বাচন এগিয়ে এলে বিরোধীদল, জামায়াত-শিবির নানাভাবে সরকারি দলকে অশালীন কথাবার্তা দিয়ে আক্রমণ করে। মির্জা ফখরুলসহ অন্যরা যেটি বলছেন সেটি হয়তো তাদের শিক্ষা আছে বলে মার্জিতভাবে বলছেন। আবু সাইদ চাঁদের পড়াশোনা নেই, গ্রামে বসবাস করেন। তার কথা বলার ধরনও এরকম। কিন্তু আমি এবং আমার দল মনে করছে, এটি আবু সাঈদ চাঁদের নিজস্ব কোনো কথা নয়। এটিকে আমরা মামলার মাধ্যমে যেমন প্রতিহত করবো নিজেরাও রাজপথে অবস্থান নিয়ে প্রতিহত করবো।
মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড আব্দুল খালেক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জিন্নাতুন নেসা তালুকদার, কেন্দ্রীয় সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল ও সহ-সভাপতি ডা. তবিবুর রহমান শেখ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই রাসিক নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়ে প্রায় শতকোটি টাকা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। ২১ মে রাসিকের রাজস্ব খাতের তহবিলে প্রায় ৪০ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত রেখে পদত্যাগ করেন তিনি। শেষ কর্মদিবস শেষে রাত ৯টায় নগর ভবন থেকে বেরিয়ে যান সদ্য সাবেক এই মেয়র। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রথমবার মেয়র ছিলেন খায়রুজ্জামান লিটন।
স্বপ্নচাষ/একে
বাংলাদেশ সময়: ৬:৩৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২২ মে ২০২৩
swapnochash24.com | sopnochas24
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ |
১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ |