শিমুলিয়ায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে রাজধানীমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। ৪ রো রো, ৪টি কে-টাইপ ও ২টি মিডিয়ামসহ মোট ১০টি ফেরি দিয়ে পার করা হচ্ছে যাত্রী এবং যান। বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষের চাপ কম ছিল। সকাল থেকে ছোট কিছু গাড়ি ও জনতা পার হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গ থেকে হাজার হাজার মানুষ কর্মস্থলে ফিরছেন। ফেরিগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে শিমুলিয়ায় আসছে।
এসব তথ্য দিয়ে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএস মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, সকাল থেকে কাঁঠালবাড়ি থেকে হাজার হাজার মানুষ শিমুলিয়ায় আসছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাস্থ্য বিধি না মেনেই তারা আসছেন। বৃহস্পতিবার পদ্মায় যে ২নং সংকেত ছিল সেটা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। পদ্মার বুধবারের অবস্থা না থাকলেও এখনও কিছুটা উত্তাল। বাতাস আছে। তাই সবগুলো ফেরি চলতে পারছে না। যে ১০টি ফেরি চলছে সেগুলো খুব সাবধানে চলছে। ফেরিগুলো যাওয়া আসায় সময় লাগছে বেশি। আমরা চেষ্টা করছি নির্বিঘ্নে পারাপারের। এছাড়া কর্ণফুলি নামে একটি ছোট ফেরি স্ট্যান্ডবাই রাখা আছে। জরুরী প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করা হবে।
এদিকে যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে এসে পড়ছেন আরেক বিপাকে। গণপরিবহন না থাকায় তাদের ছোট গাড়ি, অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল এমনকি পিকআপে বা ট্রাকে করেও গন্তব্যে রওয়ানা দিতে দেখা গেছে। কেউ কেউ ঘাটে কোন যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেও রওয়ানা দিয়েছেন। এতে যাত্রীদের কয়েক গুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে।
মাওয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্য সিরাজুল কবির জানান, আমরা যাত্রীদের নিরাপত্তায় কাজ করছি কিন্তু যাত্রীরা শুনছেন না। কারো ধৈর্য নেই। ঘাটে এসে হুড়োহুড়ি করে তারা ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানে চড়ে গন্তব্যে রওয়ানা দিচ্ছেন। নৌপথে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। শিমুলিয়া ঘাটে গাড়ি ও মানুষের চাপ গত কয়েকদিনের চেয়ে অনেক কম। কিন্তু ঢাকামুখী মানুষের খুব চাপ রয়েছে।
স্বপ্নচাষ/আরএস
বাংলাদেশ সময়: ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০
swapnochash24.com | sopnochas24